পীরগঞ্জের এক কিশোরীর কন্যা সন্তানের পিতৃ পরিচয় পাবে কি?
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জম্ম নেয়া নবজাতক শিশু সন্তানটির গত এক বছরেও পিতৃ পরিচয় মিলেনি।যে কিশোরীর গর্ভে শিশু সন্তানটির জম্ম হয়েছিল,সে কিশোরী অদ্যবধি আদালত সহ অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।আর এতে বড়ই ক্লান্ত হয়ে পড়েছে অসহায় সে কিশোরী।শেষ পর্যন্ত সে সন্তানের পিতার স্বীকৃতি আদায়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে পারবে কিনা সন্দিহান।
পীরগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলা ও বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে,উপজেলার এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক অন্তসত্বা কিশোরী কন্যার গত ০৪/০২/২০২০ ইং সনে পেটে ব্যথা শুরু হলে অজ্ঞাত ভ্যান চালক কিশোরিটিকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।সেখানে কিশোরীটি এক পুত্র সন্তানের জম্ম দেয়।পরে পুলিশ কিশোরী ও তার নবযাতককে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।এ ব্যাপারে কিশোরীটির মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধন/০৩)এর৯(৩)ধারায় পীরগঞ্জ থানায় একটা মামলা করে যার নং০৭,তারিখ-০৬/০২/২০২০ ইং।মামলায় রাহেল সরকার(৩২),তাপস সরকার (২৮),শ্রী রঞ্জিত কুমার(২০),রতন(৩০) ও আরিফুল (১৯)কে অভিযুক্ত করা হয়।পুলিশ অভিযুক্তদের ৪ জনকে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরন করেছিলেন।এদিকে মামলা দায়েরের পর মামলার ভিকটিম কিশোরীটি জানতে পারে ঘটনায় জড়িতদের অন্যতম হানিফ মিয়াকে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়নি।কেন হানিফকে আসামী করা হয়নি তা কিশোরীটর বোধগম্য নয়।এ পরিস্থিতিতে মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে কিশোরীটি। দ্বারস্থ হয় আদালত,পুলিশ ও গনমাধ্যম কর্মি সহ অনেকের।এমতবস্থায় পুলিশ হানিফ মিয়াকে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরন করেছিলেন ।
এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাহবুবার রহমান গত ২৯/০৯/২০ইংবিজ্ঞ আদালতে মামলাটির অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।অভিযোগ পত্রে রতন ওরফে রুহান,আরিফুল ইসলাম ও হানিফ মিয়াকে মামলার দায় হতে অব্যহতি প্রদানের আবেদন করেন।মামলা থেকে হানিফ মিয়া সহ অপর আসামীদের অব্যহতি প্রদানের আবেদনে আরও হতবিহবল হয়ে পড়েছে মামলার ভিকটিম অসহায় দিনমজুরের কন্যা কিশোরীটি।সে এ প্রতিবেদকের কাছে চিৎকারের সঙ্গে কেঁদে কেঁদে প্রশ্নাকারে বলে,আমার সন্তানটির কি হবে? সে বড় হয়ে যখন বাবার পরিচয় জানতে চাবে,তখন কি উত্তর দিব? ভাই , আমার সন্তানটার বাবার পরিচয় এনে দেন।তা না হলে আমার এখন মারা যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।